শহিদুল ইসলাম, উখিয়া ::
কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বেড়ে গেছে। প্রতিদিন পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা ট্যাবলেট, বিদেশী মদ, বিয়ার। এখান থেকে যাচ্ছে সুখী বডি সহ নিত্য পণ্যের জিনিস। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। চোরাচালান ব্যবসায় জড়িত রয়েছে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সীমান্তের গ্রাম গুলোতে অচেনা মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। এদের গাড়ির শব্দে সরগরম হয়ে উঠে। ইয়াবা ব্যবসার কারণে এলাকার যুব সমাজ ও স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়েরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়াও নির্বাচিত জনপ্রতিধিও এ কাজে জড়িত রয়েছে। স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনীর কতিপয় ব্যক্তির সহযোগীতায় এ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘেœ। গত ৭ বছরে ইয়াবা ব্যবসার কারণে এলাকায় নতুন নতুন বাড়ি ঘর তৈরি করার হিড়িক পড়েছে। পাশাপাশি দামী গাড়ি ক্রয় করতেও দেখা যাচ্ছে। ইয়াবা পাচারের টার্নিং পয়েন্ট হচ্ছে রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব ডিগলিয়াপালং, ডেইল পাড়া, করইবনিয়া, দরগাহ বিল, তুলাতুলি। স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনী ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত চোরাকারবারীরা হলেন, রাজাপালং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পূর্ব ডিগলিয়া গ্রামের নুর হোসেন, বিএনপি নেতা শাহ জাহান খলিবা, জয়নাল, সিরাজ, ছৈয়দ হোছন, দুনু আকবর, পশ্চিম ডিগলিয়া গ্রামের হাজী অলি আহাম্মদের ছেলে আবদুল্লাহ ও মাহবুব আলম, মৃত ছৈয়দ আলমের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, আলী আহাম্মদের ছেলে ইকবাল, মৃত ফকির আহাম্মদের ছেলে মিজান, বার্মায়া আলম, শাহ আলম, পুতিয়া, সব্বির আহাম্মদের ছেলে জসিম উদ্দিন, জাফর আলমের ছেলে মোঃ শাহজাহান প্রঃ কালা শাহজাহান, মোঃ কালুর ছেলে শাহ জাহান, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সিরাজ, কালু, নুরুল আলমের ছেলে জয়নাল, শামশুল আলমের ছেলে আকবর প্রঃ লুড়া আকবর ও মোঃ শাহা আলম প্রঃ লেড়া শাহ আলম ,ঘুনধুমের নুরুল আবছার প্রকাশ পুলিশ আবছার। এরা এলাকায় ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি চোরাচালান ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার মামলা রয়েছে। ইউপি সদস্য মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী বলেন- চোরাকারবারীদের কারণে রাতে ঘুমাতে পারিনা। এরা রাত গভীর হলে জড়ো হয়। স্থানীয় প্রশাসনকে তালিকা দেওয়া হয়েছে। রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল উদ্দিন সুজন ইয়াবা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের এক বর্ধিত সভায় উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ও হলদিয়াপালং এর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ইয়াবা পাচার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। উখিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশ প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ছাড় দেওয়া হবেনা। ষড়যন্ত্রমূলক কাউকে হয়রানি করা যাবেনা। র্যাব-৭ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পত্রিকার পাশাপাশি এলাকার যুব সমাজ এগিয়ে আসতে হবে। সহকারী পুলিশ উখিয়া সার্কেল আবদুল মালেক মিয়া বলেন তালিকা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজারে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের আয়োজনে শুরু হয়েছে ’আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন ও জনস্বার্থ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী ...
পাঠকের মতামত